গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
গাজীপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আটটি শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় রাজু আহমেদ জয় (২৮) নামে ছাত্রদলের এক নেতার মাথায় গুলি লেগেছে। এ সময় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন।
রাজু আহমেদ জয় সদর মেট্রো থানা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আহত অন্যরা হলেন যুবদল নেতা সাইদুল মাহমুদ, টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রশিদ, মেট্রো সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব প্রমুখ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী শহরের দক্ষিণ ছায়াবিথী চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ লাঠিপেটা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা ছোটাছুটি শুরু করে এবং ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদলনেতা রাজু আহমেদ জয় গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবদল নেতা সাইদুল মাহমুদ, টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রশিদ, মেট্রো সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবসহ আরও অন্তত ছয় থেকে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে।’
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ আটটি শর্টগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।