গায়ে হলুদের দিন মারা গেলেন কনে
চারদিকে আনন্দ। আজ শুক্রবার দুপুরে সুইটি আক্তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধিবাম, গায়ে হলুদের দিনে ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিন জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলাব্যথা নিয়ে মরা যান সুইটি।
কনে সুইটি আক্তার মাধবপুর উপজেলার বাড়াচান্দুরা গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার মেয়ে।
সুইটির পারিবার জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার সঙ্গে। আজ শুক্রবার তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদের আগের দিন সুইটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাধবপুর শহরের মামনি ক্লিনিকে। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় তিতাস হাসপাতালে। সেখানেও তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে। এক পর্যায়ে তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন সেখানকার চিকিৎসকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে সরাইল এলাকায় যাওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুইটি। পরে তাঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাদ আছর মরহুমার জানাজার নামাজ শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সুইটির বিয়ে উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। গেইটসহ বিয়ে বাড়িতে করা হয়েছিল আলোকসজ্জা। কিন্তু সেই আলোকসজ্জা এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে। যে গেইট দিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সেই গেইট দিয়ে তিনি লাশ বের হলেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় স্বজনসহ পুরো এলাকায় নেমে এসছে শোকের ছায়া।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক সুইটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।