গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আজিজুর রহমান হত্যা মামলার আসামি হাবিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। এ মামলার অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন—নিহত আজিজুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ওরফে তাপসী ও তাপসীর বাবা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাজনদী গ্রামের বাসিন্দা আলী মিয়া।
অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডের আসামি হাবিবুর রহমান পলাতক ছিলেন। অন্য খালাসপ্রাপ্ত দুজন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত আজিজুর রহমান কুয়েতে থাকতেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে হাবিবুর রহমানের পরকীয়ার সম্পর্কের খবরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মুকসুদপুরের দিগনগরে পৌঁছালে হাবিবুর রহমান ও তাঁর লোকজন আজিজুর রহমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরদিন ১৯ মার্চ গম ক্ষেত থেকে আজিজুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা মো. সরাব আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে।
আজ মঙ্গলবার আদালত হাবিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।