গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টাকা ছিনতাই করে জুয়াড়ি বিবেক শাখারীকে (৪৪) হত্যা মামলায় মহানন্দ তালুকদারকে (৪৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ সময় সব আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মহানন্দ তালুকদার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের পঞ্চানন তালুকদারের ছেলে।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—মহানন্দ তালুকদারের ভাই আনন্দ তালুকদার, স্ত্রী মেনুকা তালুকদার ও সহযোগী স্বপন মৃধা।
মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিগত ২০০৮ সালের ২৯ মে বিবেক শাখারীর স্ত্রী শিবানী রাণি শাখারী পার্শ্ববর্তী বানিয়ারচরের প্রদীপ শিখা নামক একটি এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন। বিবেক তাসের জুয়া খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন। জুয়ার সঙ্গী মহানন্দ তালুকদারসহ অন্যান্যরা জানতে পারেন বিবেকের কাছে ঋণের ১০ হাজার টাকা আছে। এই টাকা ছিনিয়ে নিতে বিবেককে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। টাকা ছিনিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিমতলি বিলের একটি পাটক্ষেতে ফেলে রাখেন। পরের দিন ৩০ মে পুলিশ বিবেকের লাশ পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিনয় শাখারী বাদী হয়ে ৩০ মে মহানন্দ তালুকদারসহ চারজনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম পাটোয়ারী ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন আসামি মহানন্দ তালুকদারকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শওকত আলী সিকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।