গোপালগঞ্জ হাসপাতালে সনদবাণিজ্যের প্রতিবাদে ও সঠিক চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, স্টুয়ার্ড ওয়ার্ড মাস্টারসহ কয়েকজন চিকিৎসক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি ও সনদবাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। মানববন্ধনে দেলোয়ার মোল্লা, রাজিব মোল্লা, দিলারা বেগম, তাজরিন বেগম, মিঠু কাজী ও কামাল হোসেন মোল্লা বক্তব্য দেন।
কামাল হোসেন মোল্লাসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারুক আহমেদ, ডা. শ্যামলচন্দ্র বাড়ৈসহ কতিপয় চিকিৎসক একটি দালালচক্রের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন। হাসপাতালের ওইসব চিকিৎসক-কর্মকর্তারা ভুয়া চিকিৎসা সনদের সাথে জড়িত থেকে হাসপাতালকে ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত করেছেন।
ভুক্তভোগী দেলোয়ারা বেগম ও তাজরিন বেগম বলেন, মারামারিতে গুরুতর আহত হলেও টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ৩২৬ ধারার সার্টিফিকেট না দিয়ে ৩২৩ ধারার সাধারণ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। আবার কোনো প্রকার আহত না হওয়া সত্ত্বেও রোগীকে নামমাত্র ভর্তি করে মাথার চুল কেটে সেলাই দিয়ে ৩২৬ ধারার সার্টিফিকেট দেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ওইসব কর্মকর্তারা। এই হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্র কেনা হলেও তা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। যে সকল মেশিনপত্র রয়েছে তাও অকেজো। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল যেতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা এলাকার সাধারণ জনগণ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। হাসপাতাল থেকে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ওষুধ সঠিকভাবে জনগণ পাচ্ছে না। হাসপাতালের এমন নোংরা পরিবেশ যে রোগীরা থাকতে অনীহা প্রকাশ করে। আমরা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার অসিত কুমার মল্লিকের মোবাইলফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।