চাঁদপুরে শিশু নাবিল হত্যা মামলার আসামি সোহাগের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে ছয় বছর বয়সী শিশু নাবিল হোসেন ইমনকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পলাতক আসামি শাহজালাল হোসেন সোহাগকে (৩৬) যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার ৭ ও ৮ ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহজালাল ফরিদগঞ্জ উপজেলার খড়গাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর দুপুরে শিশু নাবিল স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আসামি সোহাগ অপহরণ করে চান্দ্রা বাজারে তার দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে একটি কক্ষে শিশুকে আটকে রাখে এবং মোবাইল ফোনে শিশুর মার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওইদিনই শিশুটিকে গলায় প্লাস্টিক পেঁচিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে শিশুটিকে কাগজের কার্টনে রেখে বাজারের গলির ময়লার ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখে। শিশুকে খুঁজে না পেয়ে ওইদিনই তার বাবা মিজানুর রহমান ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এরপর ২ অক্টোবর বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ডাস্টবিনের কার্টন থেকে শিশু নাবিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করে। মুক্তিপণের টাকা দাবি করা মোবাইলফোনের সূত্র ধরে আসামি সোহাগকে ১৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধার করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আখতার হোসেন ঘটনার তদন্ত করে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর চলার সময়ে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে এই রায় দেন। তবে, আসামি জামিনের পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার অনপুস্থিতিতে এই রায় দেন বিচারক। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার।’