চিংড়ি ঘেরে গ্যাস উদ্গিরণ, ‘আজ বা কাল আসবেন’ বাপেক্সের বিশেষজ্ঞ
মোংলায় একটি চিংড়ি ঘেরে ছয় বছর ধরে গ্যাস উদ্গিরণস্থল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় মিঠাখালী এলাকার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের গ্যাস উদ্গিরণের চিংড়ি ঘেরটি পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী।
এ সময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আলিমুজ্জামান, মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আমি সরেজমিনে এসে দেখে গেলাম। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ তিনি আরও বলেন, এমন গ্যাসের অস্তিত্ব সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে।
এর আগে বাপেক্সের প্রাথমিক প্রতিনিধিদল, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর ও খনিজসম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটিও এ গ্যাস উদ্গিরণস্থল পরিদর্শন করে।
তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজসম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক নুর আলম শেখ বলেন, ‘আমি নিজেও বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বিষয়টি জানিয়েছি। তাতে তাঁদের তেমন কোনো সাড়া নেই। মূলত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ নিয়ে চরম ধীর গতি হচ্ছে। এখন দেখছি শুধু পরিদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে এ বিষয়টির কার্যক্রম।’
নুর আলম শেখ আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত গ্যাস উঠে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ নিয়ে এত উদাসীন কেন বুঝতে পারছি না।’
বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (ভূতাত্ত্বিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে আমি শুনেছি ও জেনেছি। এটি তদন্তের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) প্রয়োজন। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ থেকে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। তারপরও আমাদের জিএম ল্যাবরেটরি (জিওলজিক্যাল) হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম আজ (বৃহস্পতিবার) না হয় কাল (শুক্রবার) যাবেন সেখানে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বাপেক্স কর্তৃপক্ষ।’