চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা, সাক্ষ্য দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলার তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা। এই ম্যাজিস্ট্রেটই মামলার আসামি শিমুর স্বামীর বন্ধু ফরহাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন (১৭ জানুয়ারি) কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।