চুরি যাওয়া সরকারি ভর্তুকির সারসহ আটক ৯
যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দর এলাকায় দুটি লাইটার জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া সরকারি ভর্তুকির সারসহ চোরচক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সার ও আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার আজ মঙ্গলবার বিকেলে জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন সার নিয়ে দুটি লাইটার জাহাজ মংলা বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সরকার অনুমোদিত ভর্তুকির এসব সার চায়না থেকে আমদানি করে মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতের দিকে লাইটার জাহাজ দুটি নওয়াপাড়া বন্দরে ঢোকার আগ মুহূর্তে পৃথক দুটি স্থানে নোঙর করে জাহাজের মাস্টার ও স্কটদের সহযোগিতায় একটি চোরচক্র ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানায় মামলা হলে ডিবি পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রথম দিকে দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যশোর, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে আরও সাতজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫৬৬ বস্তায় ৭৯ টন ডিএপি সার, যার সরকারি মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা। চুরি যাওয়া আরও ৪০ টন সার উদ্ধার ও এর সঙ্গে জড়িত চোরচক্রের অন্য সদস্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিবি ওসি।
পুলিশ জানায়, আটক নয়জনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট গ্রামের হুমায়ুন কবীর, সোহাগ হোসেন, পিরোজপুর জেলার রাজাপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ শিকদার, খুলনার পাইকগাছার ভোপাল সরকার, পিরোজপুর সদরের শিকারপুর গ্রামের ফয়সাল মোরশেদ সজীব, পিরোজপুরের ঝাটকাঠি গ্রামের লিখন সরকার, একই জেলার কুমিরমারা গ্রামের আক্কাস আলী শিকদার, যশোরের অভয়নগরের তরিকুল ইসলাম ও বাগেরহাটের মংলার পারভেজ আহমেদ রাজু।
সরকার অনুমোদিত ভর্তুকির এই ডিএপি সারের আমদানীকারক মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাহাবুব আলম লাভলু বলেন, ‘মংলা বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া নৌ-বন্দরে পণ্য পরিবহন করে আনার সময় প্রায়ই লাইটার জাহাজ থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে লাইটার জাহাজের কর্মীদের পাশাপাশি যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলার সংঘবদ্ধ একটি চোরচক্র জড়িত।’