ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুইজন রিমান্ডে
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমির দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ দুই আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুকসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহসাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলামকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ। অন্য দুইজনকে চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। পরে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে।
সিরাজুলকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট বেলা ১১টায় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাওয়া নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তবে, বিএনপির অভিযোগ, শুধু কাঁদানে গ্যাসের শেল নয়, গুলিও চালিয়েছে পুলিশ।
এর পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মেট্রোরেল প্রকল্পের গাড়িসহ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অ্যাডমিন অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।