ছাত্রলীগনেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২২ জনের যাবজ্জীবন
রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহেন শাহ হত্যা মামলায় বিএনপিপন্থি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর রহমানসহ নয় জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও এইচ এম ইলিয়াস হোসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন।
এর আগে রায়ের দিন নির্ধারিত থাকলেও ১২ বার পেছানোর পর আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর রহমান, হাসানুজ্জামান হিমেল, তৌফিকুল ইসলাম চাদ, মহাসীন, সাইফুল, রজব, বিপ্লব, মমিন ও আরিফুল ইসলাম।
এদিকে, রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে, ন্যায় বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
নিহত শাহেন শাহ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ছিলেন। তিনি এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন শাহেন শাহ। শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহেন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন নগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন নিহত শাহেন শাহর বড় ভাই রজব আলী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপিনেতা মনসুর রহমান। ওই নির্বাচনে মনসুর রহমান নির্বাচিত হন। নির্বাচন চলাকালে মনসুর রহমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে রজব আলীর ভাই শাহেন শাহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট মনসুর ও তাঁর সমর্থকেরা শাহেন শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে শাহেন শাহকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।