জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় বাসদের বিক্ষোভ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাসদ (মার্ক্সবাদী)। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, গতকাল গভীর রাতে বৈশ্বিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির মিথ্যা অজুহাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, যা পূর্বের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাতে তেল পাচার না হয়, তার জন্য দাম বাড়িয়েছে। আইএমএফের কাছে সরকার ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চাইলে তারা জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত আরোপ করে।
মাসুদ রানা বলেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। সামনে আরও কমবে। পাচার বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা সরকারের। তার দায় জনগণ কেন নেবে? বিদ্যুতের ঘাটতি কমানোর নামে সরকারের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে করপোরেট মালিকদের লুটপাটের মহোৎসব। জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে সরকার তার দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নামে। অবিলম্বে বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজেলের দাম বাড়লে সেচের খরচ বেড়ে যায়। তার উপর কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। এই পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত কৃষকের আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহণ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে বাস ভাড়া ও জিনিসপত্রের দাম।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সহসভাপতি মানস নন্দী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য সীমা দত্ত।