টাঙ্গাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, দুই আসামির স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্কুল থেকে বনে বেড়াতে গিয়ে তিন ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুই আসামি।
আজ মঙ্গলবার সন্ধায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুইজন জবানবন্দি দেন। আদালতের বিচাররক সুমন কুমার কর্মকার ও আরিফুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিকে একই সময়ে নির্যাতনের শিকার তিন স্কুলছাত্রীর জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসনাত ও নওরিন মাহবুব তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি আইনজীবী (পিপি) এস আকবর খান বলেন, আজ বিকেলে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরা হলো- ইউসুফ, বাবুল ও সুজন। এদের মধ্যে বাবু ও ইউসুফ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার তিন ছাত্রীর মধ্যে একজনের বাবা অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি থানায় মামলা করলে পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গত রোববার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সালেহা ইউসুফজাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান ছিলো। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর দেড়টায় তারা ঝড়কা এলাকায় গেলে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু হৃদয় ও শাহীন।
পরে তারা অটোরিকশায় করে সাতকুয়া এলাকায় গেলে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তাদের বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে তিনজনকে ধর্ষণ করে এবং অপর একজনকে লাঞ্ছিত করে। পরে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই চার ছাত্রীর মধ্যে একজন পাশের এলাকায় নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয় ।
পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটির প্রতিবেদন এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সদর উদ্দিন।