ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমেদকে দুদকের পৃথক দুই ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপরে তাঁকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারক রায়ে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ফরিদ আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৯১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অসাধু উপায়ে অর্জিত ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৯১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের দায়ে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে বলেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর রমনা থানায় প্রায় ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং এক কোটি দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন। পরে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।