তিস্তায় ভাসিয়ে দেওয়া সেই পোশাক শ্রমিকের করোনা ছিল না
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পোশাক কারখানার শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের (২২) মৃতদেহ তিস্তা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়।
এর আগে তাঁর নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
মৌসুমী আক্তার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
জানা গেছে, মৌসুমী আক্তার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২২ বছর বয়সী এই পোশাক শ্রমিক অসুস্থতা নিয়ে গত ২১ মে ট্রাকে করে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই ট্রাকেই তাঁর মৃত্যু হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পরেরদিন লাশটি ফেলে পালিয়ে যান ট্রাকচালক।
পরেরদিন রংপুরের তাজহাট থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মৌসুমীর বাবা। তিনি লাশ গ্রামে কবর দিতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। পরে লাশবাহী গাড়ির চালককে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে লাশটি দাফন করতে বলেন সেই বাবা।
কিন্তু লাশটি দাফন না করে তিস্তা নদীতে ফেলে দেন ওই লাশবাহী গাড়িরচালক। সেই লাশ গত রোববার উদ্ধার করে আদিতমারী থানার পুলিশ। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ওই পোশাক শ্রমিকের বাবা। পরে প্রশাসনের নেতৃত্বে সোমবার ঈদের দিন বিকেলে মৃতদেহের জানাজা শেষে নিজ গ্রামে দাফন করে পুলিশ।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি ব্যাগে মোড়ানো মর্গের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানার পরে মেয়ের বাবার আকুতি শুনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে মৃতদেহ তার গ্রামে দাফন করা হয়েছে।’