দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা : বগুড়ায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
এক শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২। ধুনট উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনার পর মাত্র ২২ মাসে এই রায় এলো। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ধুনট উপজেলার নছরতপুর গ্রামের বাপ্পী আহম্মেদ, কামাল পাশা, শামিম রেজা ও লাভলু শেখ।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ধুনট থানার নছরতপুর গ্রামে বেলাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি গার্মেন্টস কর্মী হওয়ায় ঢাকায় বসবাস করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে মাহি উম্মে তাবাছুম (৭) গ্রামে দাদা দাদির কাছে থাকত। গত ২০২০ সালে ১৪ ডিসেম্বর রাতে তারা সবাই নছরতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে ছিলেন। রাত ১০টার দিকে মাহি উম্মে তাবাছুম ওয়াজ মাহফিল থেকে দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। রাত দেড়টার দিকে গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পরদিন মাহির বাবা ধুনট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মাহিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
ধুনট থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালে ২৫ নভেম্বর আদালতে চারজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান বলেন, ‘বিচারক রায়ে আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকরের কথা বলেছেন। এ ছাড়া প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষীগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করায় বাদী পক্ষ খুশি।’