দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন শুনানি ১৭ অক্টোবর
২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি আগামী ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে আজ বুধবার মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করলে আদালত মামলা গ্রহণ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন—শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান, রমনা থানার তৎকালীন ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান মুন্সী, অমল কৃষ্ণ ও শাহরিয়ার রেজা। এ ছাড়া দুই থানার অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। ওই দিন সকাল ১০ থেকে ১১টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে রমনা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদেরকে নির্যাতন করে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
বাদী (মিলনের চাচা) অনেক খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন, ৮ মার্চ মিলনকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান, তাঁর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম নিয়ে কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন দিয়ে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
একই সালের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সেদিন সকালে বাদী ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান, দুজন পুলিশ মিলনকে কোর্টে হাজির করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কেরাণীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।