দুলাভাইয়ের দেওয়া আগুনে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর আদাবরের একটি বাসায় দুলাভাইয়ের ধরিয়ে দেওয়া আগুনে দগ্ধ মোছা. মিতু আক্তার (৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) মৃত্যু হয় তার।
দুপুরে বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্নের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন দগ্ধ মিতু আক্তার মারা যায়। তার শরীরের ৯৯ শতাংশ দগ্ধ ছিল।’
আইউব হোসেন আরও বলেন, ‘মিতুর ভাই বাপ্পিকে (৫) চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তার শরীরে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আদাবরের একটি বাসায় মিতু ও বাপ্পি (৫) নামের দুই ভাইবোনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দেন তাদের দুলাভাই আলাউদ্দিন। ওই বাসায় মিতুর মা ভাড়া থাকতেন। পাশেই থাকতেন তাদের বোন ও দুলাভাই। মিতুর বোন আলাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহিদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর আলাউদ্দিনকে আমরা গ্রেপ্তার করি। এরই মধ্যে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে তিনি শিশুদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁকে আমরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
জানা গেছে, মিতুর বাবা বাবুল তালুকদারের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। তাঁর স্ত্রী ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তাঁদের চার মেয়ে, দুই ছেলে। ভাইবোনের মধ্যে মিতু ছিল চতুর্থ।