দোকান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
রাজশাহীতে কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবিতে থালা হাতে নিয়ে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ী-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বলেন, তারা ১৬ মাস ধরে ঠিকমতো দোকান খুলে ব্যবসা চালাতে পারছে না। নতুন করে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে রাজশাহীতে ২১ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ছিল। তখন থেকে তাদের দোকান পুরোপুরি বন্ধ। সব মিলে করোনাকালে দেড় বছর ধরে তারা পরিবার নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। সামনে ঈদ। কাঁচাবাজার, কলকারখানা সব চালু আছে। শুধু দোকান খোলা যাচ্ছে না। তাদের প্রশ্ন কাঁচাবাজার-কলকারখানায় করোনা নেই? করোনা দোকান আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা নেই? বিক্ষোভকারীরা দ্রুত দোকানপাট খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানায়। দোকান খোলার সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে তারা আগামী শনিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলবে বলে ঘোষণা দেয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, ‘আমাদের ভাতেও মারছেন, পানিতেও মারছেন। না খেয়েও অনেক মানুষ অসহায় হয়ে নানাভাবে মারা যাচ্ছে। রাজশাহী গরিব অঞ্চল। প্রত্যেক মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
সরকার ঘোষণা দিলেও তারা আজ পর্যন্ত একটি টাকাও প্রণোদনা পাননি বলে দাবি করেন ফরিদ মামুদ হাসান। তাদের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী, যারা আর্থিকভাবে এই কয় মাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হোক।
তিনি এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও সিটি মেয়রের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেখেন, লকডাউন ছাড়া অন্য কোনো উপায় আছে কি না। অতি দ্রুত টিকা দিয়ে বা মানুষকে অন্যভাবে সচেতন করে লকডাউনের বিকল্প করা যায় কি না।’
অবস্থান কর্মসূচির সামনে পুলিশ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ। তিনি বলেন, ‘আজ রাজশাহীতে টানা লকডাউনের ২৯তম দিন। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে দিতে বলছেন। তাদের দাবি-দাওয়া যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারপরও আজ হঠাৎ করে তারা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা রাস্তায় না এসে আরডিএ মার্কেটের ভেতর অবস্থান করে তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারিভাবে যে নির্দেশনা, তার কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হলে, আইনে যা আছে তার সবটুকুই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োগ করবে।’