ধর্ষণের পর হত্যা : তিনজন গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় শ্যামলী ওরফে কাদনি (৪৫) নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত শ্যামলী উপজেলার ঘাইবাড়ি গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর মেয়ে।
আটক আসামিরা হলেন ভোলাহাট উপজেলার বালুটুঙ্গি গ্রামের জাক্কার হোসেন (৪০), মনসুর আলী (৪০) ও মুসরিভুজা গ্রামের মফিদুল ইসলাম ওরফে শহিরুল (৩৫)।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গত সোমবার শ্যামলী রাঙামাটিয়া বিলে ঘাস কাটতে যান। আসামিরা তাঁকে জোর করে বিলের পাশে পিয়ারা বাগানের টংঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে বেঁধে রাখে। পরে বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হত্যা করার পর মাথা কেটে ২০ হাত দূরে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর সার্কেল জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। এরপর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওসি মাহবুব আরো বলেন, ‘আটকের পর তাদের আদালতে সোপার্দ করা হয়। আসামি মনসুর আদালতে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ হত্যাকাণ্ডের আরো তথ্য উদঘাটনে জাক্কার ও মফিদুলকে সাত দিনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা শ্যামলী নিখোঁজ হন। এর একদিন পর মঙ্গলবার স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ রাঙামাটিয়া বিল থেকে তাঁর মরদেহ ও বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শ্যামলীর মেয়ে বাদী হয়ে ভোলাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।