নবীগঞ্জে জাহাঙ্গীর হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগনেতা জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বরে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা সাবেক সাংসদ মুনিম চৌধুরী বাবুর ফিশারির পাহারাদার জাহাঙ্গীর হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কুর্শি ইউনিয়নে কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য দিলবাহার আহমেদ দিলকাছ, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আফিজ উদ্দিন, গোলেমান খাঁন, নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল কাহার চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবসংহতির সহসভাপতি তোফায়েল আহমদ সায়েদ, উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ সিএনজি শ্রমিক সংগঠন শুভেচ্ছা স্যান্ডের সভাপতি রায়হান চৌধুরী, বাংলাবাজার সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. কালা মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি জাহির উদ্দিন মোল্লা, আউশকান্দি সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের সহসভাপতি পাপ্পু মিয়া, তাহিরপুর-ঘোলডুবা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. ফয়ছল মিয়া, কুর্শি সিএনজিচাললিত অটোরিকশা সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি জামাল আহমদ, কুর্শি সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. লেচু মিয়া, সহসভাপতি শাহ সবুজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেনু মিয়া, যুবনেতা রাসেল চৌধুরী, সেলু আহমদ, ইনাতগঞ্জ পশ্চিম বাজার সিএনজি অটোরকিশা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমিন মিয়া, সহসভাপতি মো. জিলু মিয়া, ইনাতগঞ্জ পূর্ববাজার সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়জুর রহমান।
এ সময় নিহত জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা বেগম, স্ত্রী মোছা. রেজিনা বেগম, তার শিশু দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের মো. আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে যুবলীগনেতা মো. জাহাঙ্গীর মিয়াকে সাবেক সংসদ সদস্য মুনিম চৌধুরী বাবুর মালিকানাধীন ফিশারি বাউসা ইউনিয়নের গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরের একটি ঘরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ রশি দিয়ে ঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দিতে চাইলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেজিনা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন।