নিখোঁজের ১০ দিন পর নোয়াখালীতে শিশুর লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজের ১০ দিন পর পাঁচ বছরের শিশু আছমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আছমার চাচাতো ভাই মো. শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়েছে এবং তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার ১০ দিন পর গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আছমা আক্তার মৃধা বাড়ির মো. শাহজাহানের মেয়ে। আটক শাহাদাত হোসেনও একই বাড়ির এবং তারা চাচাতো ভাই বোন।
গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আছমা আক্তার নিখোঁজ হয়। পরদিন শুক্রবার চাটখিল থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আছমার পরিবার। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, আছমা বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঘর থেকে বাড়ির সামনে যায়। পরবর্তীতে তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যেরা বাড়ির আশপাশে ও স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে। খোঁজ না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় জিডি করে পরিবার। চাটখিল থানার জিডি নম্বর ১১৫০।
জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। একপর্যায়ে শিশু নিখোঁজ থাকার ৯ দিনের মাথায় গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিনগত রাতে নিহতের চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্য মতে, ঘটনার ১০ দিন পর নিহতের বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শিশু আছমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে এবং তারপর ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেয়। নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে।’