নিখোঁজের ৩ দিন পর ভারত থেকে এলো মনিরের মরদেহ
তিন দিন ধরে নিখোঁজ শেরপুরের শ্রীবরদীর ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা রানীশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা মনিরের (৪৩) মরদেহ ভারত থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে জেলার নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে মনিরের লাশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। তবে কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে জানাতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।
মনির শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খাড়ামোড়া গ্রামের মৃত মুনসের আলীর ছেলে। মনির গত ১ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে মনিরকে আহত অবস্থায় ভারতের ডালু এলাকায় পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২ মে তার মৃত্যু ঘটে। মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় ভারতীয় পুলিশ শেরপুর জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এ ব্যাপারে ভারতের ডালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
নিহত মনিরের স্বজনরা জানান, মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী পোশাক কারখানায় কর্মরত রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে তারা সপরিবারে বাড়িতে আসেন। গত ১ মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিলেন। পরে স্বজনরা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারেন মনিরের মৃত্যুর খবর। তাদের জানানো হয়, ভারতের ডালুর হাসপাতালে মনিরের মরদেহ রয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘নিহত মনিরের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর সেটি ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’