পদ্মার পাড় যেন উৎসবের মিলন মেলা
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে শরীয়তপুরবাসীর মনে বইছে উৎসবের আমেজ। সভাস্থল থেকে শরীয়তপুর জেলাশহর পর্যন্ত সড়কে নির্মান করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা। ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বর্ণিল সাজে সেজেছে শহর। মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে পশ্চিম নাওডোবার টোলপ্লাজার নিরাপত্তা বেস্টনির বাইরের সংযোগ সড়ক। এদিকে, সেতুর উদ্বোধন ঘিরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে শুক্রবার বিকালে পশ্চিম নওডোবা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের দুই পাশে ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে। সবার মধ্যে এখন সাজসাজ রব। গান বাজনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পদ্মার পার। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দূর থেকে এক নজর দেখতে ভিড় জমিয়েছে হাজারও মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছে অনেকে।
ফরিদপুরে ভাঙ্গা থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন আব্দুর রহমান (৪৫)। তিনি বলেন, ‘জীবনেও ভাবিনি পদ্মা নদী সেতু দিয়ে পার হব। নিজেদের টাকায় নির্মিত সেতু, ভাবতেই যেন নিজেকে বীরের মতো মনে হচ্ছে।’
খুলনা থেকে আসা আনিছুর রহমান (৪০) বলেন, ‘বাইক নিয়ে এসেছি। ২৫ তারিখ কাল। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। তখন সড়ক ব্যস্ত হয়ে যাবে। তাই উদ্বোধনের একদিন আগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে চলে এলাম। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেব।’
এদিকে, শরীয়তপুর থেকে কাঁঠালবাড়ি বাংলাবাজার সমাবেশে যোগ দিতে শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ১৫টি লঞ্চ, ১৫০টি নৌকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যন্য উপজেলা থেকে ১০টিরও অধিক লঞ্চ আসবে বলা জানা গেছে।
ভেদরগঞ্জের হাসান মিয়া বলেন, ‘আমরা দ্রুত নদী পাড় হয়ে ঢাকা বা অন্য জায়গায় যেতে পারব। এতে করে আমাদের সময় বাঁচবে। তাই উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে নৌকা সাঁজিয়ে নিয়ে যাব।’
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক প্রস্তুতি নিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা লঞ্চযোগে সেখানে পোঁছাব।’
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আনন্দ উদযাপন করবে এই জেলার মানুষ। তাই আমরা তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই আনন্দ সবাই উপভোগ করবে।’