পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে পারাপার শুরু করেছে যানবাহন। ছয়টি টোল ঘরের একটিতে টাকা পরিশোধ করেই যানবাহন উঠে যাচ্ছে সেতুতে।
আজ রোববার সকাল ৬টায় টোল কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
ভোর থেকেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভিড় জমাতে থাকে যানবাহন। সবাই নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে মোবাইল ফোনে ভিডিও বা ছবি তুলছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে।
আজ সকালে পদ্মা সেতু পার হয়ে অনিকেত নামের এক বাইকচালক নিজের দুহাত উঁচু করে পদ্মা জয়ের উল্লাস জানান।
শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে আসা মিন্টু সরকার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘এটি স্মরণীয় দিন। পদ্মা সেতু পার হয়ে আসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সেতুর ওপর দিয়ে যখন আসছিলাম, মনে হয়েছে যেন বিশ্ব জয় করে এলাম।’
টোল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল ৬টা থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ছয়টি টোল ঘর থেকে টোল নেওয়ার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা চাচ্ছি—নিরবচ্ছিন্নভাবে টোল কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে।’
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আসেন।
পদ্মা সেতু পারাপারে সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী—পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, গাড়ি ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে। বাসের ক্ষেত্রে ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) দুই হাজার ৪০০ টাকা, ট্রাককে (পাঁচ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (পাঁচ টনের বেশি ও সর্বাধিক আট টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (আট টনের বেশি এবং সর্বাধিক ১১ টন) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাকে (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা এবং ট্রেইলারকে (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা টোল দিতে হবে।