আজ শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এ সময় তাঁকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। আবুল হোসেন ছাড়াও এ সময় সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সে অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোট বোন শেখ রেহানা, তাঁর পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী। তাঁরা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।’

কার্যসূচি অনুযায়ী, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। সেখানে অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি। এ সময় পদ্মা সেতু উদ্‌বোধন উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্‌বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা সেতুর নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকল্প থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। এরপর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে।