পাপুলের এমপি পদ ‘কেনা’ও তদন্ত হবে
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদ সদস্য পদ ‘কিনে নেওয়ার’ অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মানবপাচার আইনের মামলায় বিদেশে দণ্ডিত পাপুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
সচিব বলেন, শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে। আগে থেকে পাপুলের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুল ও অন্যন্যর বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
গত বছরের ১১ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেসমিন প্রধান দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পাপুল-সেলিনা দম্পতির অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতার রূপ দিতে সহযোগিতা করেন। এজন্য ‘লিলাবালি’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।
এ ছাড়া জেসমিন প্রধানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। তার বোনের স্বামী এমপি শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।