পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, পুলিশসহ আহত ৭
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুস সোবাহানও আহত হন।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের অনেকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঈদের পরে কুশল বিনিময়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী শিহাব শেখের ৫০ থেকে ৬০ জন লোক তাদের ওপর হামলা চালায় এবং তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনের মধ্যে পাঁচ-ছয়জন আহত হয়। পুলিশ তাদের বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুস সোবাহান গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে শিহাব শেখ দাবি করেন, কদমতলা বাজারে নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর হানিফ খান তাঁর লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে তাদের চার-পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় মজুমদার জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার পর পরই তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশও আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।