পুলিশ কনস্টেবল হত্যায় ৪ জনের সশ্রম কারাদণ্ড
কনস্টেবল আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময়ে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আনিস মণ্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল আলম খোকন ও কামরুল হাসান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৪ জুলাই গাংনী উপজেলার পিরতলা আইসি ক্যাম্পের এসআই সুবীর রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সূত্রে মাদকদ্রব্য পাচারের তথ্য পান। এ সময় পীরতলা সাহেবনগরে মাইক্রোবাস আটকাতে রাস্তার ওপরে কাঠের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেন।
মাইক্রোবাসটির চালক কাঠের গুঁড়ির কাছাকাছি এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পায়। গুঁড়ির পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যেতে গিয়ে পুলিশ কনেস্টবল আলাউদ্দিনকে ধাক্কা দেন। এ সময় মাইক্রোর বাম্পারে আটকে যান আলাউদ্দিন। হাড়াভাঙা ডিএইচসিপিআর ফাজিল মাদ্রাসার সামনে ছিটকে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে মারা যান।
পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই বস্তায় মোট ৩৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় এসআই সুবীর রায় বাদী হয়ে গাংনী থানায় আনিস মণ্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। হত্যা মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যে আনিস মণ্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেন দোষী প্রমাণিত হন।
আজ মামলার রায়ে আদালত চার আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের করে কারাদণ্ডাদেশ দেশ দেন।
এদিকে একই ঘটনায় ফেনসিডিল রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আনিস মণ্ডল, তাহাজুত হোসেন, শাকিল হোসেন ও রুবেল হোসেনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।