প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুবকের দুই হাতের রগ কাটার অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবকের দুই হাতের রগ কেটে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম সজীব প্রধান (২৫)। তিনি বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে।
হামলায় আহত সজিব জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশি ইসমাইল ও তার স্বজনদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। এই ঘটনার রেশ ধরে বেশ কয়েকবার তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায় ইসমাইল গং। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার দুই চাচাতো ভাই জুবায়ের ও মাসুদ রানাকে নিয়ে চৌদ্দকাহনিয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় যান। এ সময় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের নেতৃত্বে রতন, মামুন ফরহাদ, রুবেল, রুমান, জয়, সাকিবসহ মোট নয়জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রথমে পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের তিনজনকে জিম্মি করে ফেলা হয়। পরে মামুন ও সাকিবসহ কয়েকজন চাইনিজ কুড়াল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হামলায় আহত সজীবের চাচাতো ভাই জুবায়ের বলেন, হামলাকারীরা মোট নয়জন ছিল এবং তাদের হাতে তিনটি পিস্তল কয়েকটি চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি ছিল। প্রথমে তাদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে হামলাকারীরা। পরে পরিকল্পিত হামলা করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করা হয় সজীবকে।
এদিকে আহত সজীবের বাবা নান্নু মিয়া বলেন, প্রতিবেশি ইসমাইলের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলার কারণে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আদালতের রায় তার পক্ষে আসে এবং অংশীদারদের কাছ থেকে অংশ কিনে নেওয়ায় ইসমাইল ও তার স্বজনরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ ঘটনার রেশ ধরে আজকে তার ছেলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সব ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইফফাত আরা বলেন, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সজীবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাতের রগ কাটা এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, স্থানীয় সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।