প্রবাসে কর্মরতদের আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইট
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু করবে সরকার। এ বিষয়ে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবে আলী আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনে বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, সিঙ্গাপুরসহ অনেকগুলো দেশেই বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই ছুটিতে দেশে এসেছেন। ওইসব দেশ যদি স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য নিয়ম-নীতি মেনে ফ্লাইট চালু রাখে, সেক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের নিয়ম ও বিধি-বিধান মেনে যেতে পারে সে জন্য আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করায় আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছেন। ছুটিতে দেশে এসে অনেকে লকডাউনে আটকা পড়েছেন। কারও কারও ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এরই মধ্যে।’
বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাসুদ বিন মোমেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব,সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান,বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকের বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুবে আলী এনটিভি অনলাইনকে আরও বলেন, বৈঠকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে সবদিক বিবেচনা করে শ্রমিকদের বিষয়টি তুলে ধরে বিশেষ ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অবস্থান তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, গতকালের বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান,কাতার ও সিঙ্গাপুরের জন্য শিগগিরই স্পেশাল ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবে। বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সির। প্রবাসী কর্মীরা কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।