প্রেস কাউন্সিল আইনের ব্যাখা দেওয়া সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ : টিআইবি
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধিত খসড়া প্রসঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের ব্যাখা দেওয়াকে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করতে চায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্য অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত চূড়ান্ত খসড়ায় অংশীজনের মতামতের প্রতিফলন হয়েছে কি না তা মূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
আজ বুধবার এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে টিআইবি এ কথা জানায়।
গত ২৩ আগস্ট গণমাধ্যম ও টিআইবিকে প্রেরিত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সময় উল্লেখ করে ও প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর খসড়ার অগ্রগতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বিবৃতি প্রদান করেছে। এছাড়া প্রেস কাউন্সিল খসড়া প্রণয়ণের পূর্বে দেশবরেণ্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে প্রেস কাউন্সিলের ব্যাখা প্রদানের চেষ্টাকে আমরা প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করতে চাই।”
তবে বিবৃতিতে বর্ণিত ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে খসড়া চূড়ান্ত করার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, “২০২০ সালে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রেস কাউন্সিল আইনের চূড়ান্ত খসড়া প্রণীত হলেও, সেই খসড়া গত আড়াই বছরেরও বেশি সময়ে অংশীজনকে প্রদান বা জনসমক্ষে উন্মুক্ত করেনি প্রেস কাউন্সিল। ফলে এ বছর ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত ওই খসড়ায় অংশীজনদের মতামত, প্রত্যাশা বা উদ্বেগের সঠিক প্রতিফলন ঘটেছে কি-না তা নিশ্চিত করার কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। যা স্পষ্টতই প্রেস কাউন্সিল সংশোধিত আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংশোধিত আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পূর্বে চূড়ান্ত খসড়াটি অবিলম্বে অংশীজন ও জনস্বার্থে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিবে। পাশাপাশি সাংবাাদিক, সংবাদপত্রসহ সকল অংশীজনের মতামত ও সুপারিশ যে সঠিকভাবে চূড়ান্ত খসড়ায় গৃহীত হয়েছে- তা নিশ্চিতে প্রেস কাউন্সিলের যথাযথ উদ্যোগের প্রত্যাশা করছি।”