ফরিদপুরের আলোচিত ১২ বাস পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরের আলোচিত ১২টি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের হেলিপোর্ট বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, ইন্সুরেন্সের ক্ষতিপূরণ ও ব্যাংক লোনের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তারকৃতরা।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—ফরিদপুর শহরের পশ্চিম গোয়ালচামট এলাকার জহুরুল ইসলাম জনি (২৪) ও পারভেজ মৃধা (২১) এবং নগরকান্দা উপজেলার গোড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪১)।
গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদুল হোসাইনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলায় জব্দ করা হয় বাস। সেই বাসগুলোর ইন্সুরেন্সের ক্ষতিপূরণ ও ব্যাংক লোনের দায় থেকে মুক্তি পেতে এ আগুন দেওয়া হয়। এসব কথা স্বীকার করেছেন সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিন আসামি। যদিও এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।
২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হন বরকত, রুবেলসহ তাঁদের নয় সহযোগী। এরপর ঢাকার সিআইডি কাফরুল থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে সাউথ লাইন পরিবহনের বাসগুলো জব্দ করে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে রাখা ছিল।
জব্দ করে রাখা ২২টি বাসের মধ্যে ১২টিতে গত ১২ মার্চ রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।