বঙ্গোপসাগর থেকে ৬ রোহিঙ্গাসহ ৯ জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমার কাছাকাছি এলাকা থেকে ছয় রোহিঙ্গাসহ ১৫ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অবস্থানের অভিযোগে তাদের আটক করে নৌবাহিনী। আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্যাম্পের বাইরে যাতায়াত ও অবস্থানের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেই তাদের আটক করে নৌবাহিনী।
মোংলার দিগরাজ ঘাঁটির নৌবাহিনীর গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েবয়া এলাকা থেকে ৩১ নটিক্যাল দূরে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমার কাছাকাছি এলাকায় এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি ট্রলার থেকে ছয় রোহিঙ্গা ও নয় জেলেকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার রাত ৩টার দিকে ছয়টি ট্রলার বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে ভারতের জলসামীর দিকে যাচ্ছিল। তখন বঙ্গোপসাগরে টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা গোমতি ওই ট্রলারগুলোর গতিরোধ করার চেষ্টা করলে ট্রলারগুলো দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকে। তখন তাদের গতিরোধের উদ্দেশ্যে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়া নৌবাহিনী। এ সময় পাঁচটি ট্রলার এদিক-ওদিক চলে গেলেও মা-বাবার দোয়া নামক এ ট্রলারটি ভোর ৬টার দিকে আটক করা হয়। পরে ওই ট্রলারটিতে ছয় রোহিঙ্গাকে পাওয়া যায়। তারা ট্রলারটিতে মাছ ধরার জন্য অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। এ রোহিঙ্গারা হলো উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে নুর আলম (৪০) ও মৃত ইমান হোসেনের ছেলে আলী জোহার (২৮)। আর টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের মোহাম্মদ আলমের ছেলে জাহিদ আলম (৩৫), মৃত ইমান হোসেনের ছেলে জুবায়ের (৩০), মো. ধলু হোসেনের ছেলে মো. কামাল হোসেন (২৩), মো. ফজল আহম্মদের ছেলে মো. ইয়াসির (২৫)।
এ ছাড়া অপর নয় জেলে হলেন কক্সবাজারের এম.ভি মা-বাবার দোয়া ট্রলার মালিক গিয়াস উদ্দিনের জেলে মো. শাহালম মিস্ত্রি (৫০), মো. নুরুল আলম (৪৫), মো. নুর হোসেন (৩৭), মো. জাকের হোসেন (৩২), মো. হালেম (৪৮), মো. হারুন (৩৫), মো. মনির হোসেন (৪৭), মো. জাকির হোসেন (৩২) ও মো. আলাউদ্দিন (৪৫)। এ সকল জেলেদের বাড়ি নোয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন এলাকায়। রোহিঙ্গাসহ আটক জেলেদের মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ বিকেল ৩টার দিকে বলেন, নৌবাহিনীর বঙ্গোপসাগর থেকে ছয় রোহিঙ্গাসহ আটক অপর নয় জেলেকে পুলিশে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি বলেন, এদের মধ্যে কোনো ভারতীয় জেলে নেই, এরা যেহেতু রোহিঙ্গা ও এদেশীয় জেলে তাই তাদের নিজ এলাকায় পাঠানো হবে নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে—সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।