বরিশালে পুলিশের হাতে আটকের পর ‘ক্ষমা চেয়ে’ মুক্ত ছাত্রদলনেতা
মিছিলের সময় এক মোটরসাইকেল-চালক এবং তাঁর স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনিকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পান তিনি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন এ খবর জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে নবগঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের মিছিলের সময় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনির নেতৃত্বে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে সাড়ে ৮টার দিকে আনন্দ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে গির্জা মহল্লা থেকে চকবাজারে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর বাধা উপেক্ষা করে চকবাজার এলাকায় মিছিলটি অতিক্রম করার সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কায় একটি মোটরসাইকেলের চালক ও তাঁর স্ত্রী রাস্তায় পড়ে যান। পরে আহত দুজন পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানান।
এর মধ্যে ছাত্রদলের মিছিলটি অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে যায়। সে সময় মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রনি পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘চকবাজার থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীসহ পড়ে যান। ওই ব্যক্তি এ ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ বিষয়টি জানার জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়। ওই সময় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতিসহ নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ ছাত্রদলের সভাপতিকে আটক করে। পরে ছাত্রদলের সভাপতি অভিযোগকারীদের কাছে ক্ষমা চাইলে অভিযোগকারীরা সন্তুষ্ট হন এবং তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’