বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪৮ জনের কারাদণ্ড
সাতক্ষীরায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তিনটি অংশের দুটিতে (অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে) বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন ও ৪৪ জনের ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জজ আদালতের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এই রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রনজু ও বিএনপি নেতা রিপন। এছাড়া পলাতক ও জামিনে মুক্তসহ ৪৪ জন আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে এই মামলার ৫০ জন আসামির মধ্যে ৩৭ জনকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভিন বকুল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।
এদিকে এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। এছাড়া আদালতপ্রাঙ্গণে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতাদের স্বজনদের কান্নাকাটি ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, সাতক্ষীরার ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমরা দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই মামলার আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
এদিকে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতাদের স্বজনদের বক্তব্যও নিতে দেয়নি পুলিশ।