বিদেশে থেকেও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপিনেতা কারাগারে
গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সোহরাব উদ্দিনকে পুলিশের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার তিনি ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে আদালত দুই দফা শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১০ অক্টোবর বিএনপির শোক মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এ মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানা পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোহরাব উদ্দিন আজ সকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ৫ নং আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে তার আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলামের আদালতে পুনরায় জামিন শুনানির আবেদন করেন। তিনি শুনানি না করে তা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইটের ২ নং আদালতে পাঠান। সকাল সাড়ে ১১টায় তার আদালতে দ্বিতীয় দফা জামিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে তিনি কোনো আদেশ না দিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আদালতের কাঠগড়ায় বিএনপির এ নেতাকে বসিয়ে রাখেন। পরে নিজের খাসকামড়া থেকে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ কোর্ট পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান খানের মাধ্যমে আইনজীবীকে জানিয়ে দেন।
আদেশ শুনে সোহরাব উদ্দিন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই। ঘটনার সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। অথচ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি বিএনপির কর্মী হওয়ায় আদালতে ন্যায়বিচার পাইনি।’
সোহরাবউদ্দিনের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আদালতের আদেশ সঠিক হয়নি। ঘটনার সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। আদালতে তার মূল পাসপোর্ট দেখানো হয়েছে। আটক করা জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে পুলিশের সাজানো জবানবন্দির মাধ্যমে অবিবেচনা প্রসূত আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।’
সোহরাব উদ্দিনের জামিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মোল্লা, নূরুল কবীর শরীফ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শামীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক আইনজীবী।