বিষ দিয়ে মাছ ধরে আগুনের তাপে শুঁটকি, আটক ১
সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরে ওই মাছ আগুনের তাপে করা হয় শুঁটকি। এরপর চলে পাচার। এমন চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বনবিভাগ। জব্দ করেছে ৯ বস্তা চিংড়ির শুঁটকি ও ট্রলার। গতকাল সোমবার দিনগত রাতে ঘটে এ ঘটনা। আজ মঙ্গলবার তাঁকে থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
আটক ওই ব্যক্তির নাম আবেয়ার (৩৪)। সুন্দরবনের পশুর নদের নন্দবালা এলাকা থেকে আটক হন তিনি।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মরাপশুর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অহিবুল ইসলাম জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই জেলে ও দুর্বৃত্তদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টহলও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ওসি অহিবুল বলেন, ‘জেলেরা সাধারণত কাঠের তৈরি নৌকা ও ট্রলার ব্যবহার করে থাকেন। অথচ বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিতে কৌশলে ফাইভার বোটে করে শুঁটকি পাচার করছিল একটি চক্রটি। ফাইবার বোটটির গতিবিধি সন্দেহ হলে সেটি থামানো হয়। এ সময় তাতে তল্লাশি চালিয়ে ৯ বস্তা চিংড়ির শুঁটকি জব্দ করা হয়।’ বিষ দিয়ে এসব মাছ ধরা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বোট ও শুঁটকিসহ আটক আবেয়ারের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করে। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি বনে অনুপ্রেবশ করে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও বনের কাঠ পুড়িয়ে আগুনের তাপে শুঁটকি তৈরি এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। যাঁরা বনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে চলতি প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের মৎস্য প্রজাতির অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্ক রয়েছে। এ জন্য বনবিভাগকে আরও সতর্ক ও কঠোর হতে হবে।’