বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জুল হকের ছেলে তানভীরুল হক রাফির (১৮) ওপর হামলার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার কিশোরগঞ্জের আমলি আদালত-২-এ মামলাটি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জুল হক। এতে ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালতের বিচারক অভিযোগ শুনানির পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় ২২ জনের মধ্যে আছেন—নাহিদ (২০) জাহিদ (১৮), রাহিম (২৫) ও মিরান। তাঁরা সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহ ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার তোফাজ্জুলের ছেলে রাফিকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় রাফির সঙ্গে থাকা তাঁর অপর দুই ভাতিজা-ভাতিজিও আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় স্বজনরা রাফিসহ অন্য আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাফি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভৈরব থানার পুলিশ মামলাটি গ্রহণ না করায় তোফাজ্জুল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত রোববার দুপুরে ভোটার আউডি কার্ডের জন্য ছবি তুলতে এলাকায় যান তোফাজ্জুল হকের ছেলে তানভিরুল হক রাফি (১৮), তাঁর ভাতিজা আফরাজুল হক (১৮) ও ভাতিজি তাজিন হক (২২)। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহর ছেলেদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে তাঁরা ছবি তোলা শেষে ভৈরবে ফেরার পথে চেয়ারম্যানের ছেলেদের নেতৃত্বে তাদের সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মামলা কেন গ্রহণ করা হয়নি—এমন প্রশ্নের উত্তরে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, তোফাজ্জুল হক সাহেবের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। তিনি মৌখিকভাবে ঘটনা জানালে আমি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছি। লিখিত অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বললেও তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।’