ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক ২ পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক কাপড় ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার আসামিরা হলেন সোনারগাঁ থানার তৎকালীন (পরে বরখাস্ত) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্রশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাক।
এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আজ রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সাবেক এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলার বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, শুধু নির্যাতনই নয়—টাকা দাবি করেছিলেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। দুজনকে থানায় ধরে নিয়ে নির্যাতন করার পর জাহিদের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। আমি ছিলাম স্বাক্ষী। আমার উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করায় পরিবারকে প্রতিনিয়ত ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছেন তাঁরা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর রাতে দত্তপাড়া এলাকা থেকে কাপড় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাতের ব্যক্তিগত সহকারী সচিব (এপিএস) ও যুবলীগনেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে চোখ ও দুই হাত বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের অমানুষিক নির্যাতন করেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় ব্যবসায়ী জ্ঞান হারালে তাঁদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।