মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যেরচক এলাকায় সিদ্দিক খান নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে আট লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালের এই ঘটনায় আহত সিদ্দিক খানকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী সদর উপজেলার রাজারচর গ্রামের লতিফ খানের ছেলে।

তবে পুলিশ বলছে মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ী সেই মামলার বাদী।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রাজারচর গ্রামের সিদ্দিক খান ব্যবসায়িক কাজে জেলঅ শহরে আসছিলেন। পথে শরীয়তপুর-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কের মধ্যেরচক এলাকার ফাঁকা জায়গায় তাঁকে মারধর করে আট লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা ব্যবসায়ী সিদ্দিক খানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

আহত ব্যবসায়ী সিদ্দিক খান বলেন, ‘আমি অটোরিকশায় করে জেলা শহরে আসছিলাম ব্যবসায়িক কাজে। এ সময় সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য ঈমান ফরাজি, রাসেল ফরাজি ও লুৎফর ফরাজি আমাকে মারধর করে আমার কাছে থাকা আট লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমি এর বিচার চাই।’

ব্যবসায়ী সিদ্দিক খান আরও বলেন, ‘ঈমান ফরাজি নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু সফর জানান, সিদ্দিক খান নামে একজন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আহত ব্যক্তি একটি মামলা বাদী। মামলার বাদী এবং আসামিরা একই অটোরিকশায় ছিলেন। মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তি অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’