ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর ‘লুণ্ঠিত মালামালসহ’ গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী। ঘটনা গত ২৩ জানুয়ারি ভোরের। এরই মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি দল।
রাজধানী ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার ধারাবাহিক অভিযানে তঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ফখরুল ইসলাম ওরফে ফকু, মো. আলমাস, মো. মামুন, আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে আসিক, মো. শাহিন, মো. বাবু ও মো. শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, একটি লুণ্ঠিত ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি এবং তিন হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গত ২৩ জানুয়ারি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোড থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ভোরে আউটার সার্কুলার রোডের গ্রামীণ চেক শো-রুমের সামনে পৌঁছালে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাঁদের গতিরোধ করে।’
মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ওই প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী চার জন লোক তাঁদের ঘিরে ফেলেন। তাঁদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে একটি ট্রলি ব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি, সাত হাজার ৬০০ বাংলাদেশি টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৩ জানুযারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকা ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’