ভারতের পেঁয়াজ এলেও আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না : বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতের পেঁয়াজ আমদানি হলেও আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আমদানি করে আমাদের কখনো কখনো সংকট মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক ফের যুক্ত করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি এ কথা জানান। এ সময় তিনি জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি। চাল ও তেলের দাম বৃদ্ধিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ না নেয় সেজন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দামটা বেড়ে গেছে। সেজন্যই দামের প্রভাবটা আমাদের দেশে পড়েছে। সব সময়ই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, দেশে চালের দামটা বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ নেই। ফলে মজুদ বাড়ানোর জন্য আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার টন করে তিনটি কনসাইনমেন্টের এলসি ওপেন করা হয়েছে। আরো দুইটি ওপেন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাজারে অনেক আইটেমের দাম কমে গেছে। শাকসবজি, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। পেঁয়াজের দামও কমে আসছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনীতি করছে। মূলত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যত বেশি বেড়েছে, তার চেয়ে একটা পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম দেওয়ার জন্যই তারা দিয়েছে। পেঁয়াজের দাম যখন ২০০ টাকা উঠেছে তখন তারা কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়নি। এখন দিচ্ছে। কারণ নতুন বছরে তারা বলছে, নতুন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে হবে। তাই তারা এই কর্মসূচি দিয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির কারণে প্রান্তিক কৃষকেরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে, সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফের শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে পেঁয়াজ সংকটে পড়ে দেশ। তখন অন্য দেশ থেকে আমদানি সহজ করতে পেঁয়াজের ওপর ধার্য করা পাঁচ শতাংশ শুল্ক মুক্ত করে সরকার। তবে সেটি আবারও আরোপ করা হবে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা শুল্ক আরোপের পরামর্শ দিব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত তার স্বার্থের কথা ভেবে কখনো কখনো খুলে দিচ্ছে, আবার কখনো বন্ধ করে দিচ্ছে। এখন আবার তারা খুলে দিয়েছে। গত বছর মার্চের মাঝামাঝি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করব। ভোক্তারা যাতে কোনো সংকটে না পড়ে সেটাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোক্তাদেরটাও দেখব, কৃষকদের স্বার্থও দেখব।