ভৈরবে দরিদ্রদের খাদ্যসামগ্রী দিল স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে প্রবাসীদের নিয়ে গড়ে তোলা অনলাইনভিত্তিক পাবলিক গ্রুপ স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা বাবদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে এবং সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংগঠনের লোগো সংবলিত মগ ও ক্রেস্ট বিতরণের মাধ্যমে পরিচিতি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের নিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন প্রধান অতিথি এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও ভৈরব টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন।
রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাদেকপুর ইউনিয়ন ভৈরবের একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেছেন বহু গুণী-জ্ঞানী ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু এখানকার কয়েকটি গ্রামের ঝগড়া-ফ্যাসাদ ইউনিয়টিকে সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
মোস্তাফিজ আমিন বলেন, অন্যান্য গ্রামের তুলনায় রসুলপুর গ্রামটি বরাবরই শান্ত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই গ্রামের কিছু মানুষও ঝগড়াপ্রবণ গ্রামগুলোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে অতীত সুনামকে নষ্ট করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এখানে কয়েকটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ভাঙচুরসহ লুটপাট হয়েছে কয়েকশ বাড়িঘর, যা শান্তিপ্রিয় মানুষদের আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক যন্ত্রণায় ফেলেছে। এইসব অনভিপ্রেত ঘটনা পরিহারে সামাজিক ঐক্যের বিকল্প নেই। আর এই ঐক্যের সূচনা করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরির মাধ্যমে। তিনি তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে উপস্থিত সবাইকে মহান আল্লাহর নামে শপথ বাক্য পাঠ করান আর ঝগড়া-ফ্যাসাদে জড়িত না হওয়ার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজগর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামান, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক হেড মাওলানা নূরুল হক ও শিক্ষক উমর ফারুক।
রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নেকবর খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি রাজীবুল হাসান, সংগঠক কাউছার আহমেদ, ব্যবসায়ী সায়হাম আহমেদ মারজান, ব্যাংকার নাইম খান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে সংগঠনের নিজস্ব অর্থে শতাধিক দরিদ্রের মধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল ও পেঁয়াজ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও দুর্ঘটনায় পা ভাঙা এক দরিদ্র ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদানসহ ভালো না হওয়া পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়।