মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে মামলা
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তিকর ও মানহানিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে আবু সাদাত সায়েম নামের এক প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালে নাদিম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮,২৯ ও ৩১ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা লন্ডনপ্রবাসি আবু সাদাত সায়েম। এ ঘটনায় ঢাকার বাসিন্দা নাদিম হোসেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আমি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো ধর্মকে খাটো করা উচিত নয়। কিন্তু আমি একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারি হিসেবে মনে করি মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি ও হেয় প্রতিপন্ন করা আমার ধর্মের প্রতি বড় ধরনের আঘাত। এ ছাড়া এ ধরনের স্ট্যাটাস ধর্মীয় উসকানিমূলক। এতে সমাজে ও দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে হবে। এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া ইসলাম ধর্মের প্রতি চরম আঘাত।
এ বিষয়ে বাদী নাদিম বলেন, ‘আসামি সায়েমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় শরীয়তপুরের ২০ জন সাক্ষী আসামি সায়েমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিবেন। নাদিম আরও বলেন, আসামি সায়েম ছিল তার প্রাথমিক স্কুলের বন্ধু। তারা একই এলাকায় বসবাস করেন এবং সায়েম ইংল্যান্ডে গিয়ে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়।’
নাদিম বলেন, ‘আসামি সায়েম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টানই হননি বরং ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।’
নাদিম আরও জানান, ইসলাম ধর্ম ও নবী (সা.) এর বিরুদ্ধে ফেসবুকে সায়েমের করা বিভিন্ন সময়ে পোস্ট সমূহ একত্রিত করে পেইন ড্রাইভে সাইবার ট্রাইব্যুনালে সরবরাহ করেছেন।
বাদী আরও জানান, সায়েম ইংল্যান্ডের কেন্টে অ্যাসফোরড গেটওয়ে চার্চে খ্রিষ্টান ধর্মে যোগদান করেন এবং চার্চের ওয়েবসাইটে তার টেস্টমনি প্রকাশ হয়; যেখানে তিনি ইসলাম ধর্মকে আঘাত করে মন্তব্য করেন। যার প্রমাণ সাইবার ট্রাইবুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এই মামলা করা হয়নি বরং একজন মুসলমান হিসেবে এই মামলা করা হয়েছে।