‘মানবাধিকার রক্ষায় ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা উচিত মানবাধিকার কাউন্সিলের’
জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের সার্বজনীনতা, নিরপেক্ষতা এবং অনির্বাচনীকরণের নীতি অনুসরণ করে মানবাধিকার রক্ষার জন্য একটি ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা উচিত, বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৮ম অধিবেশনে একটি ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার দৃষ্টিভঙ্গি সবার মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষায় বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সবার অধিকারের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে কীভাবে জনগণের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে কোভিড-১৯ মহামারিকালীন কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করেছিলেন, তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি থেকে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।’
রাখাইন রাজ্য সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মানবাধিকারের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেন।