মানিকগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আড়াই হাজার আসামি
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আড়াই হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। আজ শুক্রবার তথ্য জানা গেছে।
মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিরা বিএনপির অজ্ঞাত নেতাকর্মী।
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাঁরা হলেন সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, যুবদলনেতা সেলিম মোহাম্মদ এবং ছাত্রদলনেতা রুবেল মাহমুদ। পরে এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ মামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে বাধা দেয়। বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। গতকাল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করে। অথচ উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ ও মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, জেলা শহরের খালপাড় এলাকায় শহীদ তজু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে রাস্তা বন্ধ না করতে অনুরোধ করলেও তাঁরা কোনো তোয়াক্কা না করে রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় তাদের। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাঁশি বাজিয়ে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার ও কনস্টেবল শাহীনসহ সাতজন পুলিশ সদস্য এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি আর এস মঞ্জুর রহমান ও বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান আহত হন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’