মানুষ গড়ার কারিগর মাওলানা মফিজুল ইসলাম আর নেই
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার খেড়িহর গ্রামের একজন আলোকিত মানুষ মাওলানা মফিজুল ইসলাম। এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দূর থেকে দূরান্তে ছুটে গেছেন এই মানুষ গড়ার কারিগর। শাহরাস্তির সবার প্রিয় শিক্ষক এই মানুষটি আর নেই। আজ মঙ্গলবার ভোরে সাড়ে ৬টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল ইসলাম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মফিজুল ইসলাম চার ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আলোকিত এই মানুষটির প্রত্যেক সন্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
১৯৭২ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন মাওলানা মফিজুল ইসলাম। ২০০৬ সালে অবসরে যান। তিনি পশ্চিম খেড়িহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শাহরাস্তি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আজ বাদ আসর জানাজা শেষে খেড়িহর আলজামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
মফিজুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন খেড়িহর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিক আহমেদ ভুঁইয়া ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক শামসুল হক ভুঁইয়া আবু।
শোক প্রকাশ করেছে এলাকায় সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা ‘আলোকিত খেড়িহর (আমরা ৯৫)’ । সংগঠনটি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
এদিকে খেড়িহর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছন শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. জসিম উদ্দীন, দাতা সদস্য হুমায়ুন কবির বাবর ও সভাপতি মো. টিপু খান। এ ছাড়া আরও শোক প্রকাশ করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শাহ আলম, জীবন মজুমদার, সমাজসেবক মুন্সী আব্দুল হালিম, আবুল বাসার মুন্সী, মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস লিটন ভূঁইয়া ও আল জামিয়া ইসলামিয়া খেড়িহর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমেদ।