মুন্সীগঞ্জের ঘটনায় দেড় সহস্রাধিক আসামি করে ২ মামলা
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাটে পুলিশ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় সহস্রাধিক আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ২৫ জনকে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় ওই দুটি মামলা করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সুমন দেব জানান, পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র লুটের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান আসামি করে দলের ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। এসআই মাঈনউদ্দিনের করা মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনগত রাতে মুক্তারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ২৪ জনকে আটক করে। তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মুক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রমিক লীগকর্মী আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দোকানপাট ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরেকটি মামলা করেছেন। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই ও সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে আজ আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে শহরের পুরাতন কাচারি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
এ ছাড়া আজ সকালে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকা থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানারপুল এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন।