মেয়ে জামাইয়ের মামলায় শ্বশুরের ৩ কোটি টাকা জরিমানা
মেহেরপুরে মেয়ের জামাইয়ের দায়ের করা চেক ডিজঅনার মামলায় শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন মেহেরপুরের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলাম গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। বাদী একই গ্রামের হাজি আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং গাংনীর কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলাম ও জামাই মিজানুর রহমান রানা এক সঙ্গে ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণে শ্বশুরের কাছে জামাইয়ের এক কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওনা হয়। পরে এই পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য আনোয়ারুল ইসলাম ২০২০ সালের ৮ জুন তার নিজ নামীয় জনতা ব্যাংক মেহেরপুর শাখার একটি চেক দেন জামাই মিজানুর রহমান রানাকে। ওই তারিখে নগদায়নের জন্য চেকটি ওই ব্যাংকে জমা দিলে অ্যাকাউন্টে টাকা জানিয়ে ডিজঅনার সার্টিফিকেট দেয় ব্যাংক। বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে এক সপ্তাহ সময় চান। পরে ১১ জুন শ্বশুরের বিরুদ্ধে ডাকযোগে একটি নোটিশ পাঠান জামাই। ১৪ জুন চেকের টাকা পরিশোধ করে চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে দ্য নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় লিগ্যাল নোটিশ প্রকাশিত হয়।
লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ায় এনআই অ্যাক্টে আদালতে মামলাটি করেন জামাই মিজানুর রহমান রানা। মামলায় তিন জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার বাদী কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এই রাইয়ের মাধ্যমে আদালতে আইন সবার জন্য সমান, তা প্রমাণিত হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লভ ভট্টচার্য ও আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।